দলের বিধায়ক দল ছাড়তেই বিষ্ণুপুরে এলেন বিরোধী দলনেতা : সাংবাদিকদের মুখোমুখি

30th August 2021 8:09 pm বাঁকুড়া
দলের বিধায়ক দল ছাড়তেই বিষ্ণুপুরে এলেন বিরোধী দলনেতা : সাংবাদিকদের মুখোমুখি


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :   আজ বিষ্ণুপুরে এসে মুকুল রায় কে উল্লেখ করে তন্ময় ঘোষের বিরুদ্ধে তীব্র কটাক্ষ করলেন বিজেপি দল বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তন্ময় ঘোষের তৃণমূলে যোগদান প্রসঙ্গে আজ বিষ্ণুপুর কলেজ রোড সংলগ্ন বিজেপির দলীয় কার্যালয়ে একটি সাংবাদিক সম্মেলনে করেন বিজেপির বিরোধী দল নেতা শুভেন্দু অধিকারী।

এই সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপি দল বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন মুকুল রায় যেমন নিজের সদস্য পদ বাঁচাতে পারবেন না তেমন তন্ময় ঘোষও তার নিজের সদস্যপদ ধরে রাখতে পারবেন না। এমনভাবে মুকুল রায়কে উল্লেখ করে তন্ময় ঘোষ কে তীব্র কটাক্ষ করলেন বিজেপি দল বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী। শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী যেমন জেলে গেছেন তেমনি নিজেকে যাতে জেলে না যেতে হয় সে কথা ভাবনা চিন্তা করে পিসি ভাইপো দলে যোগ দিলেন। তিনি বিজেপি ছেড়ে গেল বিজেপি দলের কোন ক্ষতি হবে না। বিভিন্নভাবে কটাক্ষ করে তন্ময় ঘোষ এর যোগদান প্রসঙ্গে ধিক্কার জানালেন বিজেপি দল বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী। গত চার মাস দলের সঙ্গে তন্ময় ঘোষের কোন সম্পর্ক ছিলনা। বিধানসভায় পরিষদীয় দলের ঘরে কোন কোন সময় গেলেও তিনি বেশীক্ষন থাকতেননা। বিষ্ণুপুরের বিজেপি বিধায়ক তন্ময় ঘোষের তৃণমূলে যোগদান প্রসঙ্গে এই মন্তব্য করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার বিষ্ণুপুরে এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি এপ্রসঙ্গে আরো বলেন, মুকুল রায়কে ধরে গত ১০ বছরে এখনো পর্যন্ত ৫০ জন বিধায়ককে নিজেদের দলে টেনেছে শাসক দল। দলবদলের অধিকার আছে, তবে তন্ময় ঘোষের অবস্থান জানতে আগামীকাল তিনি তাঁকে চিঠি দেবেন বলে জানান।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।